জীবন ডায়েরির পাতা থেকে আমি কৈশোর বলছি, ক্রম পরিনত হয়ে ওঠার জীবনের পথ পরিক্রমায় মাতৃক্রোড়ের নির্ভেজাল স্নেহের পক্ষে সহসা বড় হয়ে যাওয়া আমার শরীর হাড়িয়েছে মাতৃস্নেহ রাঙা মধুময় শৈশবের কোমল নিরাপদ আশ্রয়, তবু আমার বাড়ন্ত মনের কুসুমিত চাহিদারা এখনো খুঁজে ফেরে মায়ের মমতা মাখা সাঁঝের রোদ্দুর ।
জীবন ডায়েরির পাতা থেকে আমি কৈশোর বলছি, জীবনের গতিময় আবর্তনে আমি অবাঞ্ছিত হয়ে রয়ে গেছি স্বপ্নমেদুর সোনালী যৌবনের সাবলীল পদচারনায়, আমার জন্য একান্তে পথ চেয়ে নেই কোন প্রেমময় মানব প্রেয়সীর নরম আঁচলের মায়াময় আশ্রয়ের ব্যক্তিগত বিভ্রম, আমার উদ্বেলিত ইচ্ছের ভ্রূণ তবু বেড়ে ওঠে একজোড়া ডাগর কাজল চোখের অসংজ্ঞায়িত ভালোলাগা ছুতে ।
জীবন ডায়েরির পাতা থেকে আমি কৈশোর বলছি, আমি মায়ের কোলে ঘুমিয়ে থাকা শৈশবের পরিনতি, আমি বেড়ে ওঠা অনন্ত বীর্যবান যৌবনের প্রতিচ্ছবি, আমি সময়ের রাজপথে হেটে চলা বিকাশমান জীবন, আমাকে মায়ের স্নেহের কোমল আঁচলের বোধ দাও, আমাকে বেড়ে ওঠার অনাবিল আলো হাওয়া দাও, আমাকে মানুষ হয়ে ওঠার মত নিষ্কলুষ পৃথিবী দাও, আমাকে একটি পরিপূর্ণ কৈশোরের অনুভব দাও, আমাকে আনন্দ ও সুখ সমৃদ্ধ একটি কিশলয় দাও, আমাকে ভালবাসাময় একটি জীবনের প্রতিশ্রুতি দাও ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সাইফ চৌধুরী
ইমতি ভাই এক কোথায় অনেক চমৎকার লিখেছেন কবিতাটি। যেন আমাদের কৈশোর আমরা ফিরে পাওয়া কবিতার কথায় কোথায়। ছন্দে, ছন্দে, অনেক সুন্দর পাওয়া এই কবিতায়। শুভেচ্ছা ও ন্যবাদ ভাই।
কৈশোর নিয়ে গতানুগতিক ভাবে আসা সহজ স্মৃতিচারণ মূলক ঘরানার বাইরে কিছু লিখতে চেয়েছিলাম, যার ফসল এই কবিতা, শৈশবের পর কৈশোর গেল, এবার যৌবন সংখ্যার ঘোষণার অপেক্ষায় রইলাম ...
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।